Tuesday, December 27, 2011

দীর্ঘশ্বাস

বৃষ্টি ঝরলে
মনে পরে তোমার কথা
কাউ কে বুঝাতে পারি না

দূরত্ব বারিয়ে
চলে গেলে বহু দূরে!
কাছে ছিলাম কখন বুঝিনি?

আমার স্বপ্ন আজ
এলোমেলো বাতাসে ডানা মেলে
আমার এ মন খুজে তোমায়

তুমিতো তা জানলে না?
বুঝিলেনা আমায়
চলে গেছ তাই বহুদুরে...
একা আমি রয়ে গেলাম একা
ভালবেসে তোমায় পাইনি।

আমার স্বপ্ন আজ
এলোমেলো বাতাসে ডানা মেলে
আমার এ মন খুজে তোমায়।

প্রিয়তমা

তোমার চোখে আকাশ আমার চাঁদ উজাড় পূর্ণিমা
ভেতর থেকে বলছে হৃদয় তুমি আমার প্রিয়তমা
পথের শুরু থেকে শেষে যাবো তোমায় ভালোবেসে
বুকে আছে তোমার জন্য অনেক কথা জমা

ভালোবাসি তোমায় কত, দেখো হৃদয় খুলে
রাঙিয়ে দেবো তোমার পাঁজর মনের রঙিন ফুলে
তোমার চোখে আকাশ আমার চাঁদ উজাড় পূর্ণিমা
ভেতর থেকে বলছে হৃদয় তুমি আমার প্রিয়তমা

তোমায় দেখার শেষ হবেনা দুচোখ বোজার আগে
আকাশ হয়ে জড়িয়ে রবো গভীর অনুরাগে
তোমার চোখে আকাশ আমার চাঁদ উজাড় পূর্ণিমা
ভেতর থেকে বলছে হৃদয় তুমি আমার প্রিয়তমা

আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়

আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়
চেনাজানা মুখগুলো সব কেমন হয়ে যায়
দিন বদলের খেলাতে
মন বদলের মেলাতে
মানুষগুলো দিনে দিনে
বদলে কেন যায় ||

সুখের দিনে ভালোবাসা দেয় যে কতজন
কাছে আসে ভালোবাসে দেয় যে ভরে মন
দিন বদলের খেলাতে
মন বদলের মেলাতে
মানুষগুলো দিনে দিনে
বদলে কেন যায় ||

দুঃখের দিনে কাছে এসে পথ ভুলে কি কেউ
একা ঘরে পড়েই রবে জানবে নাতো কেউ
দিন বদলের খেলাতে
মন বদলের মেলাতে
মানুষগুলো দিনে দিনে
বদলে কেন যায় ||

প্রেমের ধুন

একাকী মন আজ নিরবে, বিবাগী তোমার অনুভবে
ফেরারী প্রেম খোজে ঠিকানা, আকাশে মেঘ মানে বোঝো কিনা ?
বিরহ নিলে নিলে বাধে বাসা, অজানা বেথা
অধরা তারাগুলো কাদে বেদনায়, খেয়ালী তুমি কোথায় ?

দিনের আলোর শেষে .
যখন রাত নামে
তোমাকে খুঁজে পাই,
আধারের শিরোনামে।

নিখাদ চোখের কোণে,
অথৈ শুন্যতা
ভাবনার বন্দরে,
চাঁদ জাগে অপূর্ণতা।

কথা দাও

নীলাকাশ চুতে পারি যদি তুমি চাও
ওই মেঘ হতে পারি, যদি তুমি চাও
শুধু কথা দাও ভুলে যাবেনা, একটু দুঃখ আমায় চোবেনা
এই পৃথিবীর বিনিময়েও আমায় কখনো ছেড়ে যাবেনা।

ভালোবেসে যেতে পারি যদি তুমি চাও
এ জীবন দিতে পারি জমিয়ে যাও
শুধু কথা দাও ভুলে যাবেনা, একটু দুঃখ আমায় চোবেনা
এই পৃথিবীর বিনিময়েও আমায় কখনো ছেড়ে যাবেনা।

আজ মন ছুটেছে সুখের বাড়ি , দুঃখের সাথে দিয়ে আড়ি,
চৌ সীমানা দেব পাড়ি , বাধা যে মানবনা
এস ভালবাসার ছায়াতলে মন ভেজাবো সুখের জলে
ভয় যে আর করিনা।

দেখ রাত ছুটেছে চাদের বাড়ি , মনের মাঝে স্বপ্ন তারি
সব আলোতে দেব ভোরে আধার যে ডাকবেনা
সেই সপ্নের কথা সত্যি হলে
মন সাজাব ফুলে ফুলে
ঘুম যে আর হবেনা।

অবুঝ ভালবাসা

তুমি যদি আমাকে কাছে এসে
ভালবাসো
কি জানি হয় হৃদয়ে
কি করে তো্মায় বোঝাবো
ভালো আর লাগেনা
এত কেন মায়া ?
যত কাছে আমি লাগে সুধু সান্তনা
অবুঝ ভালবাসা
জানি এ নয় খেলা
তবু এই মনে হয় ছাড়া তো্মায় বাচবনা
তুমি যদি আমাকে কাছে এসে
ভালবাসো

না জানি কবে সে সময় আসবে
আমাকে ধরে কাঁদবে
ও দুঃখের পেছনে যত সুখ আছে
একদিন রঙ দেখাবে
কত দিন আর এভাবে – বোঝাবো
তোমাকে
সহেনা এ বাধন দোটানা
ভালো আর লাগেনা
এত কেন মায়া ?
যত কাছে আমি লাগে সুধু সান্তনা

When I come force to you and
love each
I dont know what happens to
my heart
I'll explain you....just tell me
I love you

আজ আমি বলব যে তোমাকেই চাই
কখনো যদি না পাই
ও-- শেষ হয়ে যাবে এ জীবনের সাধ
এ ভেবে লাগে শুধু ভয়
যতদিন এ প্রান আছে
আমি রব যে কাছে
তো্মাকে কথা দিলাম

ভালো আর লাগেনা
এত কেন মায়া ?
যত কাছে আমি লাগে সুধু সান্তনা
অবুঝ ভালবাসা
জানি এ নয় খেলা
তবু এই মনে হয় ছাড়া তো্মায় বাচবনা

আমার পরান যাহা চায়

আমার পরান যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো !
তোমা ছাড়া আর এ জগতে
মোর কেহ নাই কিছু নাই গো !

তুমি সুখ যদি নাহি পাও
যাও সুখের সন্ধানে যাও
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে,
আর কিছু নাহি চাই গো ।

আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন,
তোমাতে করিব বাস,
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ মাস ।

যদি আর কারে ভালোবাস,
যদি আর ফিরে নাহি আস,
তবে তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও,
আমি যত দুখ পাই গো ।

যেখানে সীমান্ত তোমার

যেখানে সীমান্ত তোমার
সেখানে বসন্ত আমার
ভালোবাসা হৃদয়ে নিয়ে
আমি বারে বার আসি ফিরে
ডাকি তোমায় কাছে।

হাজার ফুলে ছেয়েছে যে পথ
আমি চিনি চিনি সে ঠিকানা
তোমার মনের নীরব ভাষা
সেতো আমার আছে জানা
আমিতো চাইনা তোমার এ দ্বিধা
ভেঙ্গে দাও কাঁচেরই বাধা
সীমার বাঁধন ছিঁড়ে তুমি
ধরা দাও আমারই কাছে।

ঝড়ের দিনে খুলেছে যে পথ
আমি জানি জানি তার বেদনা
নতুন আলোর জোয়ার এলে
আমি চাই তারে দিতে আশা
তুমি কি চাওনা সোনালী দিনে
সোনালী সুখেরই সারা
কাঁটার আঘাত ভুলে তুমি
এসো এই ফুলেরই কাছে

যেখানে সীমান্ত তোমার
সেখানে বসন্ত আমার
ভালোবাসা হৃদয়ে নিয়ে
আমি বারে বার আসি ফিরে
ডাকি তোমায় কাছে

রোদ বলেছে হবে

আগেই তোকে জানিয়ে দিতাম রোদ বলেছে হবে
জেনে নেওয়ার এই বাতাসের জন্ম কোথায় কবে
আগেই তোকে জানিয়ে দিতাম রোদ বলেছে হবে
জেনে নেওয়ার এই বাতাসের জন্ম কোথায় কবে

বৃষ্টি ছিল রোদের ছুটি তাই গিয়েছি ভুলে
রোদ ছাড়া আর সেই বাতাসের আছে কে তিন কুলে
বৃষ্টি ছিল রোদের ছুটি তাই গিয়েছি ভুলে
রোদ ছাড়া আর সেই বাতাসের আছে কে তিন কুলে

থাকেনা বাতাস আটকে চুলে রাতের এই নদীর কূলে
তুই এলে ঠিক আমি না হয় দেবো সে ফুল তুলে

বৃষ্টি ছিল রোদের ছুটি তাই গিয়েছি ভুলে
রোদ ছাড়া আর সেই বাতাসের আছে কে তিন কুলে
বৃষ্টি ছিল রোদের ছুটি তাই গিয়েছি ভুলে
রোদ ছাড়া আর সেই বাতাসের আছে কে তিন কুলে

এর বেশি ভালবাসা যায়না

চোখ মেল্লেই দেখি তোমাকে
চোখ বুজলেই পাই আরো আছে
আরো বেশি ভালবাসা আমি দিতে চাই
যত ভালবাসা পৃথিবীতে আছে

ভালবাসি বড় ভালবাসি
এর বেশি ভালবাসা যায়না
ও আমার জানপাখি ময়না
ভালবাসি বড় ভালবাসি
এর বেশি ভালবাসা যায়না
ও আমার প্রানপাখি ময়না

সূর্যের বুকে আছে যতটা আলো
তারো বেশি তোমাকেই বেসেছি ভালো
রাত যত ভরে থাক আধার কালো
আলোকিত হতে চাই তোমার আলোই

একটিও পলক একাকি তুমি হীনা
চেনা চেনা লাগে সবি অচেনা
ও রাত যত ভরে থাক আধার কালো
আলকিত হতে চাই তোমার আলোয়

ভালবাসি বড় ভালবাসি
এর বেশি ভালবাসা যায়না
ও আমার জানপাখিময়না
ভালবাসি বড় ভালবাসি
এর বেশি ভালবাসা যায়না
ও আমার প্রানপাখি ময়না

জাত গেল জাত গেল বলে

জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবি দেখি তা না-না-না।

আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে,
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বল না।

ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো শুচি,
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাকেও ছাড়বে না।

গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়,
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়।
লালন বলে জাত কারে কয়
এ ভ্রম তো গেল না।

আমার এই অন্তর চাই

আমার এই অন্তর চাই শুধু যে তোমায়
দেখাবো কেমনে বল না তোমায়

দুম তানা না দে না দুম তানা না দে না
দুম তানা না দে না দুম তানা না দে না
দুম তানানানানানা দুম তানানানানানা
দুম তানানানানানাদুম তানানানানানা

প্রথম যখন দেখেছি আমি তোমায়
প্রতি রাতে ভাবি শুধু তোমায়
স্বপ্ন দেখি আমি তোমাকে নিয়ে
তুমি হবে শুধু এই আমারি
আমি শুধু ভালবাসি তোমার ওই মুখের হাসির চাঁদ

আমার এই অন্তর চাই শুধু যে তোমায়
দেখাবো কেমনে বল না তোমায়
আমি শুধু ভালবাসি তোমার ওই মুখের হাসির চাঁদ

পিচঢালা এই পথটারে

পিচঢালা এই পথটারে ভালবেসেছি
তার সাথে এই মনটারে বেঁধে নিয়েছি
রংভরা এই শহরে যতোই দেখেছি
আরে গোলকধাঁধার চক্করে ততোই পড়েছি

সারি সারি জনতার এই যে ভিড়ে
কেউ তো কারও পানে দেখ চায় না ফিরে
তাই তো আমি ভাই
এই হাতটাকে চালাই
এপাড় ওপাড় করে শুধু পালিয়ে বেড়াই
আরে দিন যায় রাত যায় এমনি করে
অলিগলি রাজপথ ঘুরে ঘুরে

ছোট ছোট মানুষের অন্ন করে
বড় বড় বাড়িগুলো উঠছে বেড়ে
তবু যেথা যাই
আরে নাই যে কোন ঠাঁই
বেঁচে থাকার তরে শুধু নগদ কিছু চাই

আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো

সুন্দরীতমা আমার
তুমি নিলীমার দিকে তাকিয়ে বলতে পারো
এই আকাশ আমার।
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
মানুষ আমি চেয়ে দেখো
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
যদি তুমি বলো আমি একান্ত তোমার,
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো আমি তোমার।

ক্যামেলিয়া হাতে এই সন্ধ্যায়
ভালবেসে যতো খুশি বলতে পারো এই ফুল আমার।
ফুল শুধু ছড়াবে সৌরভ লজ্জায় বলবে না কিছু
ফুল শুধু ছড়াবে সৌরভ লজ্জায় বলবে না কিছুই
ফুল থাকবে নিরব।
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো আমি তোমার।

জোছনা লুটালে তুমি অধিকার নিয়ে বলতে পারো
এই জোছনা আমার।
এই চাঁদ খুঁজবে না উত্তর একবার যদি বলো
এই চাঁদ খুঁজবে না উত্তর একবার যদি বলো আমাকে
আমি থাকবো না নির্বাক,
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো আমি তোমার।

আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো
আমি তোমার তুমি আমার।

মুখে বলো ভালোবাসো

গানঃ মুখে বলো ভালোবাসো
শিল্পীঃ মনি কিশোর

মুখে বলো ভালোবাসো
কাছে ডাকি কাছে আস না
যা বোঝার বুঝেছি আমি
আসলে আমায় তুমি ভালোবাসনা।

বুঝিনি কালো কোকিল
কখনো বাঁধে না বাসা
সাগরের নোনা জলে
মেটে না তৃষা
তোমার সুখে আমি হাসি
আমার সুখে কেন হাসো না
আসলে আমায় তুমি ভালোবাসনা।

বুঝিনি তোমার বুকে
মন বলে নাই যে কিছু
এতদিন ছুটেছিলাম
আলেয়ার পিছু
তোমার দুঃখে আমি দুঃখি
আমার দুঃখে কেন ভাসো না
আসলে আমায় তুমি ভালোবাসনা।

তুমি নেই তাই তোমার জন্য

তুমি নেই তাই তোমার জন্য
দহন সারাবেলা
তুমি নেই তাই তোমার জন্য
নিজের প্রতি নিজের অবহেলা ।
তুমি নেই সেই তুমি
এই আমি একা
তুমি নেই নেই সুখ
নেই ভালো থাকা ।

তুমি নেই তাই তোমার কাছে
নেই তো যাবার তাড়া
তুমি নেই তাই জীবন আমার
আজ ছন্নছাড়া ।
তুমি নেই সেই তুমি
এই আমি একা
তুমি নেই নেই সুখ
নেই ভালো থাকা
তুমি নেই তাই তোমার জন্য
দহন সারাবেলা।

তুমি নেও তাই স্বপ্নের সাথে
হয়না এখন দেখা
তুমি নেই তাই রাত্রি জেগে
হয়না চিঠি লেখা ।
তুমি নেই সেই তুমি
এই আমি একা
তুমি নেই নেই সুখ
নেই ভালো থাকা

আমি কে

আর এখানে কোন প্রশ্ন নেই মনে
জেনেছি কি যে চাই
আমি কে?

এই খেলাতে
কে জয়ী কে হারে
কি লাভ কি ক্ষতি তার
যে চলে গেছে।

কে কি যে চাই, কে জয়ী কি আশাই
কি সুখে, কি ক্ষতি কে জানে?
কে কি যে চাই, কে জয়ী কি আশাই
কি সুখে, কি ক্ষতি কে জানে?

কে আমি কে?
কি খুঁজি ভালবাসি কাকে?
কি সুখে কি যে চাই
আমি কে...আমি কে?

কে কি যে চাই, কে জয়ী কি আশাই
কি সুখে, কি ক্ষতি কে জানে?

প্রথম স্পর্শ

প্রথম স্পর্শ, প্রথম অনুভূতি
 প্রথম প্রেম, প্রথম আকুতি
 প্রথম কামনা, প্রথম বাসনা
 প্রথম মিলনে, চরম যাতনা

 প্রথম চাওয়া, প্রথম বিরহ
 প্রথম পাওয়া, প্রথম কলহ
 প্রথম রাত্রি, প্রথম দিন
 প্রথম ভালবাসা, তুলনাহীনা

 প্রথম কবিতা, প্রথম ছন্দ
 প্রথম আবেগ, প্রথম দন্ধ
 প্রথম কবিতা, প্রথম ছন্দ
 প্রথম যৌবন, প্রথম নষ্ট
 তুলনাহীনা

যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে

যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে
 লক্ষ মুক্তি সেনা
 দে না তোরা দে না
 সে মাটি আমার
 অঙ্গে মাখিয়ে দে না

 রোজ এখানে সূর্য ওঠে
 আশার আলো নিয়ে
 হৃদয় আমার ধন্য যে হয়
 আলোর পরশ পেয়ে
 সে মাটি ছেড়ে অন্য কোথাও
 যেতে বলিস না
 দে না তোরা দে না
 সে মাটি আমার
 অঙ্গে মাখিয়ে দে না

 রক্তে যাদের জেগেছিল
 স্বাধীনতার নিশা
 জীবন দিয়ে রেখে গেছে
 মুক্ত পথের দিশা
 সে পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে
 যেতে বলিস না
 দে না তোরা দে না
 সে মাটি আমার
 অঙ্গে মাখিয়ে দে না

 যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে
 লক্ষ মুক্তি সেনা
 দে না তোরা দে না
 সে মাটি আমার
 অঙ্গে মাখিয়ে দে না ।।

কান্ডারী হুঁশিয়ার

দুর্গম গিরি, কান্তার মরূ, দুস্তর পারাবার
 লংঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার

 দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ ,
 ছিড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?
 কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যত
 এ তুফান ভারী ,দিতে হবে পাড়ি , নিতে হবে তরী পার।।

 অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানেনা সন্তরণ
 কান্ডারী ! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন
 ‘‘হিন্দু না ওরা মুসলিম?” ওই জিজ্ঞাসে কোন জন ?
 কান্ডারী ! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা

 ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান ,
 আসিয়া অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন বলিদান
 আজি পরীক্ষা , জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ ?
 দুলিতেছে তরী , ফুলিতেছে জল ,কান্ডারী হুশিয়ার !

 দুর্গম গিরি, কান্তার মরূ, দুস্তর পারাবার
 লংঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার

সুন্দর সূবর্ণ তারুণ্য লাবন্য

সুন্দর সূবর্ণ তারুণ্য লাবন্য
 অপূর্ব রূপসী রূপেতে অনন্য
 আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন
 ও দেশ তোমারই জন্য।।

 থাকবেনাতো দুঃখ দারিদ্র
 বিভেধ বেদনা ক্রন্দন,
 প্রতিটি ঘরে একই প্রশান্তি
 একই সুখের স্পন্দন
 আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন
 ও দেশ তোমারই জন্য।।


 তোমার জন্য হবো দূরন্ত
 তোমার জন্য শান্ত
 প্রহরী হয়ে দেবো পাহারা
 যেথায় তোমার সীমান্ত।।
 আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন
 ও দেশ তোমারই জন্য।।

 সুন্দর সূবর্ণ তারুণ্য লাবন্য
 অপূর্ব রূপসী রূপেতে অনন্য।।
 আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন
 ও দেশ তোমারই জন্য।।

রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না

রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না
দিবা-নিশি ভাবি যারে
তারে যদি পাই না
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না

বন্ধুর প্রেমে পাগলিনী
শান্তি নাই দিন-রজনী
কুলহারা কলঙ্কিনী
কারও কাছে যাই না
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না

প্রাণ-বন্ধের সঙ্গ নিলাম
ভালোবেসে মনও দিলাম
পুর্বেই যাহা ভেবেছিলাম
এখন ভাবি তাই না!
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না

আসি বলে গেলো চলে
ভাসি সদাই নয়ন-জলে
বাউল আব্দুল করিম বলে
রঙ্গের গান আর গাই না
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না

এসনা

ছোট একটা পৃথিবী আমার ছোট একটা নীড়
ছোট একটা নদী আমার ছোট একটা তীর
এসনা আমার হয়ে জীবন গড়ি রঙ্গীন করে
না বলা কথা গুলো বলব তোমায় ।।

পূর্নিমাতে ভিজব দুজনে
স্বপ্ন আকব এক চন্দ্র দিয়ে
সুখে আর অসুখে স্বপ্ন মায়ার ইন্দ্রজলে
এসনা আমার হয়ে জীবন গড়ি রঙ্গীন করে
না বলা কথা গুলো বলব তোমায় ।।

সাঝের বেলা পাখি হয়ে তুমি ছারা সব আধার করে
দুঃখ গুলো কে মুছে ফেলে দেব পাড়ি চন্দ্রলোকে
এসনা আমার হয়ে জীবন গড়ি রঙ্গীন করে
না বলা কথা গুলো বলব তোমায় ।।

বড় আশা করে এসেছি গো

বড় আশা করে এসেছি গো
কাছে ডেকে লও
ফিরাইও না জননী।
দিনহীনে কেহ চাহে না
তুমি তারে রাখিবে জানি গো।।

আর আমি যে কিছু চাহিনে
চরণও তলে বসে থাকিব,
আর আমি যে কিছু চাহিনে
জননী বলে শুধু ডাকিব ।
তুমি না রাখিলে গৃহ আর পাইব কোথায়
কেঁদে কেঁদে কোথা বেড়াব
ঐ যে হেরী
তমশ ঘন ঘরা
গহন রজনী । 

Monday, December 26, 2011

হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ

গানঃ হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ
শিল্পীঃ হাবিব, আরফিন রুমি ও প্রাদীপ কুমার

হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ
স্বপ্ন আমার বাংলাদেশ
শান্তি আমার বাংলাদেশ
ও মা তুই......
আমার বাংলাদেশ !!!

স্বাধীনতার যুদ্ধে আছি
দোয়া করিস মা গো
তোর মুখে হাসি ফোটাবো
জাগো বাঙ্গালি জাগো

মা তোর খোকন
যেন ভয় না পায়
মরণের আগে এ
স্বাধীন করবো এ দেশ
বুকের যত রক্ত লাগে...

স্বাধীনতার যুদ্ধে আছি
দোয়া করিস মা গো
তোর জন্য শহীদ হবো
জাগো বাঙ্গালি জাগো......

মা তোর খোকন
যদি বাড়ি না ফেরে
স্বাধীনতার পরে

সবুজ লালের পতাকা
রাখিস বড় যত্ন করে

স্বাধীনতার যুদ্ধে আছি
দোয়া করিস মা গো
মায়ের দেশ মাকে দেব
জাগো বাঙ্গালি জাগো !!!!

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

গানঃ মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
গীতিকার - গোবিন্দ হালদার
সুরকার এবং গায়ক - আপেল মাহমুদ

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।

যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা
যার নদী জল ফুলে ফলে মোর স্বপ্ন আঁকা
যে দেশের নীল অম্বরে মন মেলছে পাখা
সারাটি জনম সে মাটির দানে বক্ষ ভরি।

মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি
মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি
মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি
মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে ল...

যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে
যে শিশুর মায়া হাসিতে আমার বিশ্ব ভোলে
যে গৃহ কপোত সুখ স্বর্গের দুয়ার খোলে
সে শান্তির শিবির বাঁচাতে শপথ করি।

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।

ও গানওয়ালা আরেকটা গান গাও

ও গানওয়ালা আরেকটা গান গাও
আমার আর কোথাও যাবার নেই
কিচ্ছু করার নেই।

ছেলেবেলার সেই বেহালা বাজানো লোকটা
চলে গেছে বেহালা নিয়ে
চলে গেছে গান শুনিয়ে।

এই পালটানো সময়
সে ফিরবে কি ফিরবে না জানা নেই
ও গানওয়ালা আরেকটা গান গাও
আমার আর কোথাও যাবার নেই
কিচ্ছু করার নেই।

কৈশরে শেষ হওয়া
রঙচঙে স্বপ্নের দিন
চলে গেছে রঙ হারিয়ে
চলে গেছে মুখ ফিরিয়ে।

এই ফাটকাবাজির দেশে
স্বপ্নের পাখিগুলো বেঁচে নেই
ও গানওয়ালা আরেকটা গান গাও
আমার আর কোথাও যাবার নেই
কিচ্ছু করার নেই।

পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়

পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়।
ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।

আয় আর একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়।
মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়।

মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়
বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি বকুলের তলায়।
হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়
আবার দেখা যদি হল, সখা, প্রাণের মাঝে আয়॥

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর

 গানঃ তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
মূল সংগীত ও সুরকারঃ আপেল মাহমুদ

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।
আমরা ক'জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি
শক্ত করে রে.............এ.......

জীবন কাটে যুদ্ধ করে
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই
ও ........ও ...........ও .........ও............

ঘরবাড়ির ঠিকানা নাই
দিনরাত্রি জানা নাই
চলার সীমানা সঠিক নাই
জানি শুধু চলতে হবে
এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর মাঝি রে..........

জীবনের রঙে মনকে টানে না
ফুলের ওই গন্ধ কেমন জানিনা ....জানিনা
জোছনার দৃশ্য চোখে পড়ে না.......না.......না.......না
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না

বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙ্গে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরো ছিঁড়ে যায়
ও ........ও ...........ও .........ও............

হাতছানি দেয় বিদ্যুৎ আমায়
হঠাত কে যে শঙ্খ শোনায়
দেখি ওই ভোরের পাখি গায়
তবু তরী বাইতে হবে
খেয়া পাড়ি দিতেই হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে............................​...

একতারা তুই দেশের কথা

একতারা তুই দেশের কথা
বলরে এবার বল।
আমাকে তুই বাউল করে
সঙ্গে নিয়ে চল।
জীবন মরন মাঝে
তোর সুর যেন বাজে।

একটি গানই আমি শুধু
গেয়ে যেতে চাই।
বাংলা আমার আমি যে তার
আর তো চাওয়া নাই রে...
আর তো চাওয়া নাই।
প্রানের প্রিয় তুমি
মোর সাধের জন্মভূমি।

একটি কথায় শুধু আমি
বলে যেতে চাই।
বাংলায় আমার সুখে দুঃখে
হয় যেন গো ঠাই রে
হয় যেন গো ঠাই।
তোমায় বরন করে
যেন যেতে পারি মরে।

তুমি সুন্দর যদি নাহি হও

তুমি সুন্দর যদি নাহি হও
তাই বল কিবা যায় আসে
প্রিয়ার কি রুপ সেই জানে
সেই জানে ওগো যে কখনো ভালোবাসে...
যে কখনো ভালোবাসে...

শত মনোহার করে তবু হায়
নীরব বীনারে কেবা দেখে যায়
কাঁদে যদি সুর সমবেদনায়
আঁখি তবে জলে ভাসে
প্রিয়ার কি রুপ সেই জানে
সেই জানে ওগো যে কখনো ভালোবাসে...

জানিতে চাহিনা তুমি কে যে
শুধু তোমার তুমিরে জানি
আমার নয়নে প্রতিমা হয়েছো তাই তুমি ওগো রাণী...
তাই তুমি ওগো রাণী
কেন তবু এ যে মোহ ভাবো হায়
জানোনা তোমারি তুলনাতো নাই
কাঙ্গাল হৃদয় ভরে গেছে মোর যেদিন দাঁড়ালে পাশে
প্রিয়ার কি রুপ সেই জানে
সেই জানে ওগো যে কখনো ভালোবাসে...

চাইছি তোমার বন্ধুতা

তোমায় আমি গড়তে চাই না, পড়তে চাই না,
কাড়তে চাই না, নাড়তে চাই না,
ফুলের মত পাড়তে চাইনা,
চাইছি তোমার বন্ধুতা ।

তোমায় আমি বাঁধতে চাই না, রাখতে চাইনা,
কাটতে চাই না, ছাড়তে চাই না,
স্মৃতির মত ঘাটতে চাই না,
চাইছি তোমার বন্ধুতা ।

তোমায় আমি রাখতে চাই না, থাকতে চাই না,
ঢাকতে চাই না, চাখতে চাই না;
তেলের মত মাখতে চাই না,
চাইছি তোমার বন্ধুতা ।

তোমায় আমি রুখতে চাই না, ফুঁকতে চাই না,
দুষতে চাই না, বসতে চাই না,
জোঁকের মত শুষতে চাই না,
চাইছি তোমার বন্ধুতা।

উটকো লোকে, এই সুযোগে, তাল মিলিয়ে
বিশ্রী কথা কাটবে জুড়বে,
নিজের জ্বালায় নিজেই পুড়বে
পুড়ুক তারা, তুমি আমি পুড়ছি না;

তোমায় আমি জ্বালতে চাই না, ঢালতে চাই না,
চালতে চাই না, পালতে চাই না,
কদর্যতায় ঢালতে চাই না,
চাইছি তোমার বন্ধুতা ।

তুমি আমার ঘুম

গানঃ তুমি আমার ঘুম
শিল্পীঃ টি. ডব্লিউ সৈনিক

তুমি আমার ঘুম......তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি না
তুমি আমার সুখ.....তবু তোমায় নিয়ে ঘর বাঁধি না
তুমি আমার খোলা আকাশ.....কখনো সূর্য দেখি না
তুমি আমার দিন থেকে রাত
আমি যে সময় জানি না....... ।।

আমি বৃষ্টি চাই.. অবিরত মেঘ
তবুও সমুদ্র ছোঁব না,
মরুর আকাশে মেঘ হবো শুধু
ছায়া হবো না ।

ভালোবাসা জলের মতন
দু' হাত যেন ভরে না
প্রিয় মুখ তারার মতন..
দু' চোখে গোনা যায় না।

তুমি আমার ঘুম......তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি না
তুমি আমার সুখ.....তবু তোমায় নিয়ে ঘর বাঁধি না
তুমি আমার খোলা আকাশ.....কখনো সূর্য দেখি না
তুমি আমার দিন থেকে রাত
আমি যে সময় জানি না....... ।।

দেখনা মন ঝাক মারি এই দুনিয়াদারি

গানঃ দেখনা মন ঝাক মারি এই দুনিয়াদারি
শিল্পীঃ ফরিদা পারভিন

দেখনা মন ঝাক মারি এই দুনিয়াদারি
পড়িয়ে কগ্নি ধজা
পড়িয়ে ককনি ধজা মজা উড়ালো ফকিরি
দেখনা মন ঝাক মারি এই দুনিয়াদারি ।

বড় আসার বাসা এ ঘর
পড়ে রবে কথা রে তা ঠিক নাই তারই
পিছে পিছে ঘুরছে সমন
কোনদিন হাতে দেবে দড়ি
ওরে মন কোনদিন হাতে দেবে দড়ি
দেখনা মন ঝাক মারি এই দুনিয়াদারি ।

দরদের ভাই বন্ধু জনা
মরলে সঙ্গে কেউ যাবে না মন তোমারি
তোমাই খালি হাতে একা পথে
খালি হাতে একা পথে
বিদায় করে দেবে তরী
ওরে মন বিদায় করে দেবে তরী
দেখনা মন ঝাক মারি এই দুনিয়াদারি ।

যা কর তাই কর রে মন
পিছের কথা রেখো স্মরণ বরাবরই
দরবেশ সিরাজ সাই কয় শোনরে লালন
সিরাজ সাই কয় শোনরে লালন
হোস নে কারো ইন্তেজারী
ওরে মন হোস নে কারো ইন্তেরারী
দেখনা মন ঝাক মারি এই দুনিয়াদারি ।

একাত্তরের মুক্তিসেনার যুদ্ধ

গানঃ একাত্তরের মুক্তিসেনার যুদ্ধ
শিল্পীঃ রাজীব

একাত্তরের মুক্তিসেনার যুদ্ধ আমি দেখি নাই
তবু মা তোর ধুলোর গন্ধে সংগ্রামের সে পরশ পাই ।

মূহুর্তে তোর গায়ের সবুজ বুড়ে হলেও সূর্য লাল
তিরিশ লক্ষ প্রাণের দামে রক্তে ভেজে তোর কপাল
নির্যাতিতা ফিরছে ঘরে নিখোঁজ তাহার বাপ ও ভাই ।

মাগো যদি জন্ম নিতাম একাত্তরের আগে গো
সন্তানের সে ঋণ শোধাতাম আত্মাহুতির আগে গো
শহীদ হব তোরই বুকে এমন কপাল আমার নাই ।

ছোটদের বড়দের সকলের

গানঃ ছোটদের বড়দের সকলের
গানটি গেয়েছেনঃ রথীন্দ্রনাথ রায়

ছোটদের বড়দের সকলের
গরিবের নিঃস্বের ফকিরের
আমার এ দেশ সব মানুষের, সব মানুষের।
আমার এ দেশ সব মানুষের, সব মানুষের।
চাষাদের মুটিদের মজুরের
গরিবের নিঃস্বের ফকিরের
আমার এ দেশ, সব মানুষের, সব মানুষের।

নেই ভেদাভেদ হেথা চাষা আর চামারে,
নেই ভেদাভেদ হেথা কুলি আর কামারে।
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, দেশ মাতা এক সকলের।

লাঙলের সাথে আজ চাকা ঘুরে এক তালে
এক হয়ে মিশে গেছি আমারা সে যে কোন প্রাণে।
মসজিদ, মন্দির, গির্জার আবাহনে।
বাণী শুনি একই সুরের।

ছোটদের বড়দের সকলের
গরিবের নিঃস্বের ফকিরের
আমার এ দেশ সব মানুষের, সব মানুষের।

বাংলাদেশ

তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজায় কবিতায়
আছো সরোয়ার্দী,শেরেবাংলা, ভাসানীর শেষ ইচ্ছায়
তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুনে জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন
তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন,
তুমি ছেলে হারা মা জাহানারা ঈমামের একাত্তরের দিনগুলি
তুমি জসীম উদ্দিনের নকশী কাথার মাঠ, মুঠো মুঠো সোনার ধুলি,
তুমি তিরিশ কিংবা তার অধিক লাখো শহীদের প্রান
তুমি শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীর, ভাই হারা একুশের গান,
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি,
জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি।
আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি।

তুমি কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা উন্নত মম্‌ শীর
তুমি রক্তের কালিতে লেখা নাম, সাত শ্রেষ্টবীর
তুমি সুরের পাখি আব্বাসের, দরদ ভরা সেই গান
তুমি আব্দুল আলীমের সর্ব্নাশা পদ্মা নদীর টান।
তুমি সুফিয়া কামালের কাব্য ভাষায় নারীর অধিকার
তুমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের, শাণীত চুরির ধার
তুমি জয়নুল আবেদীন, এস এম সুলতানের রঙ তুলীর আছড়
শহীদুল্লা কায়সার, মুনীর চৌধুরীর নতুন দেখা সেই ভোর।
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি,
জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি।
আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি।

তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজায় কবিতায়
তুমি বাঙ্গালীর গর্ব, বাঙ্গালীর প্রেম প্রথম ও শেষ ছোঁয়ায়,
তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুনে জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন
তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন
তুমি একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে বেজে উঠ সুমধুর,
তুমি রাগে অনুরাগে মুক্তি সংগ্রামের সোনা ঝরা সেই রোদ্দুর
তুমি প্রতিটি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার, অভিমানের সংসার
তুমি ক্রন্দন, তুমি হাসি, তুমি জাগ্রত শহীদ মিনার
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি,
জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি।
আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি।

তুমি বেশ বদলে গেছো

তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না
তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না
জানিনা কোন সাগরের.........
জানিনা কোন সাগরের ঝিনুক থেকে
একটি বার ও পলক ফেরাও না।
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না ।

বিকেলের সোনা যেমন ঝিলের জলে,
প্রণয়ের রং ছড়িয়ে ছন্দ তোলে,
তেমনি চাওয়ার ছিলো তোমার কাছে,
সাগর তলের তেমন কোনো পান্না হীরাও না....
সাগর তলের তেমন কোনো পান্না হীরাও না।
তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না ।


যে ঘাটে নোঙর ফেলে নিজের হাতে
দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে দিন কাটাতে,
সে ঘাটের রংমহলায় খিল দিয়ে আজ
পোষ মানানো পাখির ডাকেও একটু তাকাও না ।

তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরনো সৈকতে আর পানশি বেড়াও না
জানিনা কোন সাগরের ঝিনুক থেকে
একটি বার ও পলক ফেরাও না ।

ভালবাসা মেঘ

মেঘ ঝড়ে ঝড়ে বৃষ্টি নামে,
বৃষ্টির নাম জল হয়ে যায়
জল উড়ে উড়ে আকাশের গায়ে
ভালবাসা নিয়ে বৃষ্টি সাজায়

ইচ্ছে গুলো ভবঘুরে হয়ে, চেনা অচেনা হিসেব মেলায়
ভালবাসা তাই ভিজে একাকার, ভেজা মন থাকে রোদের আশায়

ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

চুপি চুপি রোদ, উঁচু নীচু মেঘ, সারি সারি গাড়ি
দূরে দূরে বাড়ি......
নিভু নিভু আলো, চুপ চাপ সব কনকনে শীত
ছম ছমে ভয়......
সংলাপ সব পড়ে থাক, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে যাক।

ঘুরে ঘুরে যদি, দূরে দূরে তবু মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

মেঘ ঝড়ে ঝড়ে ...... জল উড়ে উড়ে .....
ভালবাসা তাই ...... ভেজা মন থাক .....

ঝিরি ঝিরি হাওয়া কৃষ্ণচূড়ায়, লাল লাল ফুলে,
ছুটে ছুটে চলা ......
আধো আলো ছায়া, গুণ গুণ গাওয়া
পুরনো দিনের গল্প বলা ......
সংলাপ সব পড়ে থাকে, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে থাক।

ঘরে ফেরা পথে, নিরবে নিভৃতে মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

আমার এই জীবন মরণ শুধুই তোমার

আমার এই জীবন মরণ শুধুই তোমার
আর কারো নয়
তুমি যে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলে
আমার হৃদয় ।

তোমারি মনের কাছে শিখে নিলাম আমি
জগতে প্রেম যে হলো সবার চেয়ে দামী,
এতোদিন যা পেয়েছি আসল সে নয় নকল প্রণয়
তুমি যে ভালোবাসার ভরিয়ে দিলে আমার হৃদয় ।

কাগজের ফুলের বাগান অনেক দূরে ফেলে
তুমি যে সত্যিকারের গোলাপ হয়ে এলে,
গন্ধেই চিনিয়ে দিলে তোমার প্রাণের সব পরিচয়
তুমি যে ভালোবাসার ভরিয়ে দিলে আমার হৃদয় ।

জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো

জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাক।

তোমার কথায় হাসতে পারি
তোমার কথায় কাঁদতে পারি
মরতে পারি তোমার বুকে
বুকে যদি রাখো আমায়-
বুকে যদি রাখো মাগো।

তোমার কথায় কথা বলি পাখীর গানের মত
তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি বর্ণ কত শত,
তুমি আমার……তুমি আমার খেলার পুতুল
আমার পাশে থাকো মাগো।

তোমার প্রেমে তোমার গন্ধে
পরান ভরে রাখি
এই তো আমার জীবন মরণ
এমনি যেন থাকি
বুকে তোমার, বুকে তোমার ঘুমিয়ে গেলে
জাগিয়ে দিও নাকো আমায়
জাগিয়ে দিও নাকো মাগো।

বন্ধ জানালা

আরেকবার যেতে চাই রিম ঝিম ঝিম সুদূরপুর
অবাক রোদে ভেজা তপ্ত দুপুর
আরেকবার তোমাদের লাল, নীল রং আনন্দে
একলা রাস্তায় এক চিলতে রোদ্দুর
সারা বেলা বন্ধ জানালা………………

যদি তোমাদের অনেক শব্দ, আমার জানালায়
ছোট ছোট আনন্দের স্পর্শে, আঙুল রেখে যায়
যদি সহস্র শব্দের উৎসব থেমে যায়
সারা বেলা বন্ধ জানালা………………

যদি তোমাদের লাল নীল গল্প আমার শরীরে
কোন একলা রাস্তায় অবাক ভ্রমনে
যদি ইচ্ছের নীল রং আকাশ ছুঁয়ে যায়
সারা বেলা বন্ধ জানালা………………

সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী

গানঃ সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী
শিল্পীঃ জাফর ইকবাল

সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী
হয়ে কারো ঘরনী
জেনে রাখো প্রাসাদেরও বন্দিনী
প্রেম কভূ মরেনি

চলে গেছো কিছুতো বলে যাও নি
পিছুতো ফিরে চাও নি
আমিও পিছু ডাকিনি
বাধা হয়ে বাঁধিনি

ভুলে আছো কখনো মনে করো নি
দু’ফোটা জলও ফেলো নি
আমি তো ভুলে থাকিনি
রাখি খুলে রাখিনি

এই বাংলার মাটিতে

এই বাংলার মাটিতে
মাগো জন্ম আমায় দিও
এই আকাশ, নদী, পাহাড়
আমার বড় প্রিয়।

কোথায় বলো এতো স্বপন
হাওয়াতে ভাসে
কোথায় বলো এতো বকুল
বসন্তে হাসে।

বার মাসে তের পাবণ
বলো কোথায় আছে
মেঘের খটা দেখে এমন
ময়ূর কোথায় নাচে।
কোথায় বলো এতো মায়া
ধানের ক্ষেতে দোলে
কোথায় বলো হাসে শিশু
সুখে মায়ের কোলে
কোথায় বলো পল্লী বধূ
এমন কোমনীয়।

রং

গানঃ রং
ব্যান্ডঃ ওয়াটসন ব্রাদার্স

সুন্দর করে সাজিয়ে যাও
আমার অন্তরে ঢুকে যাও
চোখ বড়ই সাদা কাল
কেন বল কেন বল
অপেক্ষায় সৃষ্টি মধুর
বৃষ্টির পর রংধনু

রাঙ্গিয়ে দাও রাঙ্গিয়ে দাও
আমার সত্ত্বাকে
আষাঢ় শ্রাবন কার্তিক পৌষ মাসে
আমার মনে যেন রং লেগে থাকে
সারাটি ক্ষন
গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত কালে
বন্ধুদের আড্ডার হালে চালে
গভীর প্রেমের অবসরে
সৃষ্টিকর্তার বিশাল বাঁধা ঘরে।

সুন্দর করে গেয়ে যাও
আমার মনটারে রাঙ্গিয়ে দাও
বিস্বাদ নিরাময় করে
আমার অন্তরে হারিয়ে যাও

রাঙ্গিয়ে দাও রাঙ্গিয়ে দাও
আমার সত্ত্বাকে
আষাঢ় শ্রাবন কার্তিক পৌষ মাসে
আমার মনে যেন রং লেগে থাকে
সারাটি ক্ষন

গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত কালে
বন্ধুদের আড্ডার হালে চালে
গভীর প্রেমের অবসরে
সৃষ্টিকর্তার বিশাল
বাঁধা ঘরের মাঝেই আমার ঠাঁই
এত রং ফেলে কোথায় যাই

সুন্দর করে গেয়ে যাও
আমার মনটারে রাঙ্গিয়ে দাও
আমার অন্তরে ঢুকে যাও
রাঙ্গিয়ে দাও ।

আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না

আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না
ফেরারী পাখিরা, কুলায় ফেরে না ।

বিবাগী এ মন নিয়ে জন্ম আমার
যায় না বাঁধা আমাকে কোন কিছুর টানের মায়ায়
আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না
ফেরারী পাখিরা, কুলায় ফেরে না ।

শেষ হোক এই খেলা..এবারের মতন
মিনতি করি আমাকে হাসিমুখে বিদায় জানাও
আমায় ডেকো না.. ফেরানো যাবে না
ফেরারী পাখিরা কুলায় ফেরে না ।

এসো তবে বৃষ্টি নামাই

রাত নির্ঘুম বসে আছ তুমি
দক্ষিনের জানালা খুলে
যত নির্বাক অভিমান মনে
আজ সবটুকু নিলাম তুলে

এসো তবে বৃষ্টি নামাই
সৃষ্টি ছাড়া ভালোবাসায়
এসো তবে জোছনা সাজাই
দুচোখের তারায় তারায়

চুপচাপ ঝড়ছে শিশির কণা
রাতের পাখিরা সব গান গেয়ে যায়
নিশ্চুপ বাতাসে তোমার স্মৃতি
আমার গানের সুরে দূরে ভেসে যায়

গুন গুন গুন্জন মনের কোণে
আসবে তুমি বলে মেতে উঠেছে
স্বপ্নিল এই ক্ষন যখন তখন
বিদ্রোহী মন আজ জেগে উঠেছে

এসো তবে বৃষ্টি নামাই
সৃষ্টি ছাড়া ভালোবাসায়
এসো তবে জোছনা সাজাই
দুচোখের তারায় তারায়

সালাম সালাম হাজার সালাম

সালাম সালাম হাজার সালাম
সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।

মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসিমুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
তাদের বিজয় মরণে।।

ভাইয়ের বুকের রক্তে আজিকে
রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে ।
সংগ্রামী আজ মহাজনতা
কন্ঠে তাদের নববারতা
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে ।।

বাংলাদেশের লাখো বাঙালি
জয়ের নেশায় দিল রক্ত ঢালি
আলোর দেয়ালি ঘরে ঘরে জ্বালি
ঘুচিয়ে মনের আঁধার কালি
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে ।।

ভালবাসি তোমার ওই রোদ্দুর হাসি

গানঃ ভালবাসি তোমার ওই রোদ্দুর হাসি
শিল্পীঃ নীরব

ভালবাসি তোমার ওই রোদ্দুর হাসি
দেখে স্বপ্ন কাটে আমার দিবা নিশি,
কি হল আজ আমি ভেবে না পাই
সব হারালেও শুধু তোমাকে চাই।।

সব উপমা শেষে তুমি
তুমি আমার একটাই তুমি,
কতশত ভুল আজ নিত্য চারিপাশে,
ভুলগুলো ফুল হয়ে ফিরে আসে।

জোছনার এই রাত জাগে আমারি সাথে
দীঘির জলধারা তোমার ছবি আঁকে,
কোথায় আমার আজ ঘুম হারাল
স্বপ্ন হয়ে তবু দু'হাত বাড়ালো।

ছেঁড়া স্বপ্ন

পারবে আমায় এনে দিতে একটুকরো চাঁদের মাটি
কিংবা হিমালয়ের চূঁড়ার একটুখানি বরফ
নীল আকাশে ভেসে চলা একটুকরো সাদা মেঘ
কিংবা আঁধার রাতে তারা লেখা একটি হরফ
পারবে দিতে নিকষ কালো অন্ধকারে সূর্যালোক
কিংবা দিতে নতুন একটি আমার সোনার বাংলাদেশ
মরুভুমির মাঝে কোন বিশাল এক নীল সাগর
কিংবা বলতে কোথায় ঐ দূর আকাশের শেষ ?

চাওয়াগুলো আমার আজ অদ্ভুত এলোমেলো
বাস্তবতার নেই যে ছোঁয়া অকেজো এক ঝাপসা মন
তবুও আমার শেওলা ধরা প্রায় ছেড়া এই মনটা তে
করছে কেউ আবোল তাবোল অন্যরকম অনুরোধ।

পারবে দিতে সেলোভিয়ার মিষ্টি ঐ হাতদুটো
কিংবা সত্যজিতের লেখা নতুন কোন এক গল্প
পারবে দিতে পিকাসোর হাতে লেখা সিম্ফোনি
কিংবা মোযার্টের আঁকা কোন ছবি রঙ তুলি
পারবে দেখাতে আমায় ব্যর্থতার ব্যর্থ মুখ
নিঃস্ব কোন মানুষের শেষ যাত্রায় হাসিমুখ ??

চাইবো শুধু দু'টো জিনিস যদি তুমি পারো দিতে
চুপিসারে রেখে যেও যখন আমি ঘুমিয়ে
পারবে আমায় ফিরিয়ে দিতে রুপক নামের গানটারে
আর আমার গানের গলা যা গেছে কাল হারিয়ে.....

হয় না

হয় না এমনতো হয় না
নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না।

সূর্য লাল বৃক্ষ সবুজ,
আমি কান্দি ঘরের কোনায়, তুমি অবুঝ।
বৃক্ষ আকাশ সূর্য মিলে
ঝরনার কথা কয় না,
নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না।

মেঘ কালো আধার কালো
মৃত্যুর বুঝি মরন হলো।
উদাস আকাশ, উত্তাল বাতাস
পথের বাঁকে রয় না
নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না।

মেঘের নৃত্য তারার মেলা
সোঁদা মাটি রাঙ্গা আলোয় বৃষ্টির খেলা।
তোমার অশ্রু আমার চলা
একতারেতে রয় না
সাগর জলে ঝরনার চলন মনের কথা কয় না ।

যাও পাখি বল তারে

সোনার পালঙ্কের ঘরে
লিখে রেখে ছিলেম নারে
যাও পাখি বল তারে
সে যেন ভোলে না মোরে
সুখে থেক, ভালো থেক
মনে রেখো এই আমারে
বুকের ভেতর নোনা বেথা
চোখে আমার ঝরে কথা
এপাড় ওপাড় তোলপাড় একা

মেঘের উপর আকাশ উড়ে
নদীর ওপাড় পাখির বাসা
মনে বন্ধু বড় আশা

যাও পাখি যারে উড়ে
তারে কয় আমার হয়ে
চোখ ঝলে যায় দেখব তারে
মন চলে যায় অদূর দুরে
যাও পাখি বল তারে
সে যেন ভোলে না মোরে

মা তোমায়

পৃথিবীর এক পাশে মাকে রেখে
অন্যপাশেও মাকে রাখি,
পৃথিবীর সব কথা ভুলে গিয়ে
ব্যাকুল প্রাণে মাকে ডাকি,

জীবনের সবখানে সব গানে
মাকে ছাড়া জীবনের নেই মানে,
মা-হীন এলোমেলো হৃদয়ে
আর কোন ঠিকানা কেউ কি জানে.....
ও..ও...ও...ও...ও...ও মা

মায়ের মুখ দেখে দু:খ ভুলে ,
মায়ের আচলে জীবন বুঝি,
যখনই দুরে যাই আড়ালে থাকি,
নীরবে চোখ মেলে মাকে খুজি......

মায়ের ই পায়েতে স্বর্গ আছে,
স্বর্গ খুজিনা তাই অন্য খানে,
মায়েরে কারনে বাচতে শেখা,
দুচোখে মা তুমি জাগো জানে....
ও মা...মা...ও মা...মা

জন্মদিন

রাত ১২টা
যা করতে গেলে বল করোনা
করছি নাহ
দাত দিয়ে নখ কাটছি নাহ
অযথাই পা নাড়াচ্ছি নাহ
না বুঝেই ভাব মারছি নাহ
বিশ্বাস কর করছি নাহ
১২ টা ১ চেয়ে দেখ
জালনা খোলা
তার চোখে জল বৃষ্টি ভোলা
আজ শুধু এটুকুই বলা
শুভ জন্মদিন তোমার ।

যদি শহর টা থাকত আধারে
আকশ টা ঢেকে যেত কালো মেঘে
তবুও ঠিকি
যদিও থাকত না কেউ জেগে
তখনো বাড়িতে , তবুও ঠিকি
তবুও ঠিকি আসতাম এখানে দেখতে তোমাকে
আর বলতে ..........

এক গুচ্ছ গোলাপ মুঠোতে
বয়স যত হোল গোলাপ ততটাই আছে
আজ জানতে চাই তোমার কাছে
যেদিন আর গোলাপ আটবেনা দু হাতে
সেই দিনও থাকবে কি তুমি এখানে
জানালা খুলে ভেজা চোখে বলব একি সুরে

পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে

গানঃ পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
কথাঃ গোবিন্দ হালদার
সুরঃ সমর দাস

পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
জোয়ার এসেছে জনসমুদ্রে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।।
বাঁধন ছেঁড়ার হয়েছে কাল,
হয়েছে কাল, হয়েছে কাল, হয়েছে কাল।।

শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে
অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে।।
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
নয়া বাংলার নয়া সকাল,
নয়া সকাল, নয়া সকাল।

আর দেরি নয় উড়াও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ।।
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল,
শত্রু জাল, শত্রু জাল। 

বলনা

মন তোরে বলি যত
তুই চলেছিস তোরই মতো,
সাধ্য কি আমার ছুটি তোর পিছনে...
মন বলি তুই ফিরে চা,
মন ছাড়া কি যায় রে বাঁচা,
তুই ছাড়া কে আর আছে জীবনে...
কি কারণ-অকারণ,
এত করিস জ্বালাতন,
ভালো লাগে না এ দোটানা,
ও চাতন সারাক্ষণ,
বলনা তুই বলনা কেন এই ছলনা,
ও মন তুই বলনা ভালবাসি বলনা...
বলনা তুই বলনা ভুলে গিয়ে ছলনা,
একবার শুধু বলনা ভালবাসি বলনা...

এই কথা সেই কথা কত যে কথা বলিস
শুধু বলিস না মন কি কয়
ভালোবাসা প্রেম পিরিতি কত কিছু বুঝিস
শুধু বুঝিস না মন কি চায়

অন্তরটা দিলাম খুলে দেখিস না তো ফিরে
তোর মন বোঝা ভীষণ দায়...
হৃদয় টা-ও রেখেছি জমা
তাইতো আসি ফিরে
আর কিছুই দেবার তো নাই...

স্বপ্নের চেয়েও মধুর

স্বপ্নে তার সাথে হয় দেখা ...
বসে বসে ভাবি
তা একা একা
সে স্বপ্নে আসে তবুও
স্বপ্নের চেয়েও মধুর
তাকে পাবার আসায়
দুর বহুদুর.........

তার স্বপ্ন দেখে রাত চলে যায়
তারপর আসে ভোর
তারপর আমার ঘুম ভাঙ্গে
দেখি ব্যস্ততার শহর
অবিরাম ছুটে চলা
একা একা কথা বলা
কতো কিছু বলে ফেলা
তাকে ভালোবেসে ফেলা
এ ভালোবাসাতেই রুদ্দুর.....

তার স্বপ্ন আধারে ঘেরা নয়
সোনালী রোদে ভরা
মেঘের আকাশ চাইনা
তার স্বপ্নে আছে তারা
ভেসেছি ভালো তাকে
স্বপ্ন দেখার ফাকে
স্বপ্নের রং মেখে
মনেতে তার ছবি একে
সে স্বপ্নের চেয়েও মধু......

সূর্যোদয়ে তুমি

গানঃ সূর্যোদয়ে তুমি
শিল্পীঃ আব্দুল হাদী
গীতিকারঃ মনিরুজ্জামান মনির
সুরকারঃ আলাউদ্দিন আলী

সূর্যোদয়ে তুমি
সূর্যাস্তেও তুমি
ও আমার বাংলাদেশ,
প্রিয় জন্মভূমি।

জলসিঁড়ি নদীতীরে
তোর খুশির কাঁপন যেন বাজে
ও কাশবনে ফুলে ফুলে
তোর মধুর বাসর বুঝি সাজে
তোর একতারা হায় করে বাউল আমায়
সুরে সুরে।

সূর্যোদয়ে তুমি
সূর্যাস্তেও তুমি
ও আমার বাংলাদেশ,
প্রিয় জন্মভূমি।

আঁকা-বাঁকা মেঠো পথে
তোর রাখাল হৃদয় জানি হাসে
ও….পদ্মকাঁপা দিঘী-ঝিলে
তোর সোনার স্বপন খেয়া ভাসে
তোর এই আঙ্গিনায় ধরে রাখিস আমায়
চিরতরে।

সূর্যোদয়ে তুমি
সূর্যাস্তেও তুমি
ও আমার বাংলাদেশ,
প্রিয় জন্মভূমি।

সূর্য

সূর্য তুমি যেমন করে ভালোবাসো পৃথিবীকে
ও চাঁদ তুমি যেমন করে আলো দাও ওই রাতকে
তেমনি করে ভালবাসতে চাই তোমার হৃদয়ের ভূমিকে
তেমনি করে আলো দিতে চাই তোমার ভালবাসাকে
দাও আমার হৃদয়েরই সবুজ ভূমি তুমি
এই জীবনে তুমি তুমি শুধু তুমি তুমি আমার।

সাগরের ভালবাসায় পরিপূর্ণ তোমার ভূমি
সেই ভুমিতে আমি চাই ফসল ফলাতে চাই
আমার ভালবাসায় আছে আলো বৃষ্টি আর বায়ু
যা ফসলেরই প্রাণ.....

যদি চাও দিতে পারি আকাশের সকল তারা
বিনিময়ে আমি চাই এক রতি প্রেম
আমার প্রেমে আছে আদর সোহাগ আর মিলন
যা প্রেমেরই প্রাণ…..

এক নদী রক্ত পেরিয়ে

গানঃ এক নদী রক্ত পেরিয়ে
কথা ও সুরঃ খান আতাউর রহমান
শিল্পীঃ শাহনাজ রহমতউল্লাহ

এক নদী রক্ত পেরিয়ে
বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনলে যারা,
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না।
না না না শোধ হবে না।
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সাত কোটি মানুষের
জীবনের সন্ধান আনলে যারা,
সে দানের মহিমা কোন দিন ম্লান হবে না
না না না ম্লান হবে না।।

হয়ত বা ইতিহাসে তোমাদের নাম লেখা রবে না,
বড় বড় লোকেদের ভীড়ে
জ্ঞানী আর গুনীদের আসরে
তোমাদের কথা কেউ কবে না।
তবু হে বিজয়ী বীর মুক্তিসেনা,
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না।
না না না শোধ হবে না।।

থাক ওরা পড়ে থাক ইতিহাস নিয়ে
জীবনের দীনতা হীনতা নিয়ে।
তোমাদের কথা রবে সাধারণ মানুষের ভীড়ে
মাঠে মাঠে কিষাণের মুখে,
ঘরে ঘরে কিষাণী বুকে
স্মৃতি বেদনার আঁখি নীড়ে।
তবু হে বিজয়ী বীর মুক্তিসেনা
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না।।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে

গানঃ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
শিল্পীঃ স্বপ্না রায়
গীতিকারঃ গোবিন্দ হালদার
সুরঃ আপেল মাহমুদ

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
দুঃসহ বেদনার এ কণ্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।

যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।

কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
পদ্মা-মেঘনার কলতানে
বাউলের একতারাতে
আনন্দ ঝংকারে
তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।

নতুন স্বদেশ গড়ার পথে
তোমরা চিরদিন দিশারী রবে
আমরা তোমাদের ভুলব না।

সবকটা জানালা খুলে দাওনা

গানঃ সবকটা জানালা খুলে দাওনা
শিল্পীঃ সাবিনা ইয়াসমীন
কথাঃ নজরুল ইসলাম বাবু
সুরঃ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

সবকটা জানালা খুলে দাওনা
আমি গাইব গাইব বিজয়েরই গান
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ।।

চোখ থেকে মুছে ফেল অশ্রুটুকু
এমন খুশির দিনে কাঁদতে নেই
হারানো স্মৃতি বেদনাতে
একাকার করে মন ডাক দিলে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।

আজ আমি সারানিশি থাকব জেগে
ঘরের আলো সব আঁধার করে।
তৈরি রাখব আতর গোলাপ
এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।

সেই রেল লাইনের ধারে

সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে
এক মধ্যবয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে
খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না ।

দৃষ্টি থেকে তার বৃষ্টি গেছে কবে শুকিয়ে
সে তো অশ্রু মুছেনা আর গোপনে আঁচলে মুখ লুকিয়ে
শুধু শূণ্যে চেয়ে থাকে যেন আকাশের সীমা ছাড়িয়ে
খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না ।

দস্যি ছেলে সেই যুদ্ধে গেল ফিরলো না আর
আজো শূণ্য হৃদয়ে তার গুমড়ে গুমড়ে যায় হাহাকার
খোকা আসবে, ঘরে আসবে যেন মরণের সীমা ছাড়িয়ে
খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না ।

যদি আবার জন্ম নিই বৃষ্টি হয়ে

যদি আবার জন্ম নিই বৃষ্টি হয়ে
ঝরবো তোমাকে বুকে এসে
তোমাকে যাবো আমি ভালোবেসে...!!
যদি আবার জন্ম হয় আলো হয়ে
পরবো তোমার মুখে হেসে
তোমাকে যাবো আমি ভালোবেসে...!!

রাত হয়ে যদি আমি আসি ফিরে,
রঙিন স্বপ্ন দিয়ে রাখবো ঘিরে
বাতাসের সাথে যদি থাকি মিশে
তোমাকেই ছুঁয়ে যাবো ভালোবেসে

ঢেউ হয়ে যদি আসি দোলাবো তোমায়
সুর হলে দেবো পাড়ি গানেরও খেয়ায় !!
আবার জন্ম নিলে এই মাটিতে
দেখা হবেই জানি তোমার সাথে
একই মন নিয়ে ফিরে নতুন বেসে
তোমাকে যাবো আমি ভালোবেসে...!!

আমি এক ভাঙ্গা বাড়ির ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা বারান্দা

আমি এক ভাঙ্গা বাড়ির ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা বারান্দা
আমি পথের মাঝে খুজে পাওয়া টাকা আধখানা......
আমি বিদ্যাসাগর, মাইকেলেরই মস্ত বড় ভুল
আমি কিশোরীর ওই হারিয়ে যাওয়া মুক্তো গাঁথা দুল
মুক্তো গাঁথা দুল.........
দেখ বাবু নামের বড় খোকা করতে পারে ফূল
দেখ চেনে না কেউ মাঝ বৈশাখ চেনে মার্চ জুন...
দেখ ছারিদিকে কত মানুষ কত ব্যস্ততা
খুলেছে কেউ নতুন হিসেব আজকে হালখাতা
আজকে হালখাতা............

যদি পথের রাজা পাঁজেরও দেখে ঈর্ষা হয়
তবে মনে রেখ দু চাকার ওই হিরো কম যে নয়.........
যদি সুন্দরী আজ তোমায় দেখে মুছকি হাসি দেয়,
তবে মেনে নিও ছলনাটা প্রেমের বাঁশি নয়
প্রেমের বাঁশি নয়.........

যারা মনের মাঝে লুকিয়ে রাখে গাঢ় অন্ধকার
যারা ভুলের পরে ভুল খুঁজে যাই তোমার আমার
যারা কোনদিনও জানে না যে ছলছাতুরি কি?
বল তাদের কি তুমি আমি বন্ধু বলেছি?
বন্ধু বলেছি.........
আমি এক কালো পিছ এর সোজা পথের পুরানো পথিক
তাই বলছি না আমার এই কথা গুলো ঠিক.........
আমি দেখি যা, শুনি যা, বলিও যে তা.........
আমার বন্ধু রবে কড়া রোদ তোলা..........

তোমাকে দেখলে একবার

তোমাকে দেখলে একবার
মরিতে পারি শতবার,
তুমি নও তো কভু হারাবার
জীবনে মরনে
বিরহের এই নিশি লগনে
জেগে আছি শুধু দুজনে
তোমাকে দেখলে একবার
মরিতে পারি শতবার।

বাতাস তোমার অঙ্গ ছুয়ে
সুবাস নিয়ে আসে,
বেঁচেই আছি গন্ধে তারই
নিশ্বাসে নিশ্বাসে,
কাছে থেকেও তুমি আছ দুরে
কত ব্যাথা তাই অন্তরে।
ও..ও.ওও..ওওও.
তোমাকে.....................
মরিতে পারি শতবার

বন্দিনীগো কাঁদছো তুমি
আমায় মনে করে,
তাইতো তোমার অশ্রুগুলি
বৃষ্টি হয়ে ঝরে,
শত বাধা আজ ভেঙে চুরে
মন পেতে চায় তোমারে।
ও..ও...ও.ওওও..........

সাদা

তুমি চাইলে বৃষ্টি
মেঘ ও ছিল রাজি
অপেক্ষা শুধুই বর্ষণের
মাতাল হাওয়া বইছে
দূরে পাখি গাইছে গান
বৃষ্টি তোমার আহবান

সাদা রঙের স্বপ্ন গুলো দিলনা কও ছুটি
তাই তো আমি বসে একা
ঘাস ফুলেদের সাথে আমি একা কথা বলি
ঘাস ফুল গুলো আজ ছন্ন ছাড়া

তুমি চাইলে জোছনা স্বপ্নিল কোন এক রাতে
আকাশটা ঘিরে পার্থনা
চাঁদ টা বলবে হেঁসে জোছনা এলে শেষে
জানিও তোমার অভ্যর্থনা

সাদা রঙের স্বপ্ন গুলো দিলনা কও ছুটি
তাই তো আমি বসে একা
ঘাস ফুলেদের সাথে আমি একা কথা বলি
ঘাস ফুল গুলো আজ ছন্ন ছাড়া

দুঃখিনী মা

কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত
ছেলে হারা একজন
দুঃখিনী মা।
মনে মনে ভাবে বসে
সবাই তো ফিরে আসে
খোকন শুধু ফিরে আসে না।

েস্টশন মাঠ লোকালয়ে
হাজার মানুষের ভিড়ে
জনে জনে জানতে চাই
দুঃখিনী মা
কোথাই আছে? কেমন আছে?
আমার খোকন সোনা।
মনে মনে ভাবে বসে
সবাই তো ফিরে আসে
খোকন শুধু ফিরে আসে না

সোনার খোকন যুদ্ধে গেলো
হাজার স্বপ্ন বেধে বুকে
পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গার
স্লোগান ছিল মুখে।
খোকনের রক্তে ভিজে গেলো পতাকা
রক্তিম সূর্যে ফিরে এল স্বাধীনতা
শুধু খোকন ফিরে এলো না
পথ চেয়ে আজ ও কাঁদছেন
ছেলে হারা মা
খোকন কেন ফিরে আসে না?
মনে মনে ভাবে বসে
সবাই তো ফিরে আসে
খোকন শুধু ফিরে আসে না।

ভাবনা নদী

তুমি আমার ভাবনা নদী
উথাল পাথাল ঢেউ,
সেই নদীতে দেয়নি সাতার
আমি ছাড়া কেউ।
ভাসিয়ে নাও না দূরে
যতোটা তোমার ইচ্ছে করে
জলেরই আতলে চিনিয়ে দিও আমাকে ।।

মনের ভিতর পাঁজর ছুঁয়ে
শুধু তোমার বসবাস,
চোখের ভিতর জুড়ে আছো
হয়ে আমার নীল আকাশ।
আমি ছাড়া তোমার
মেঘ ছুঁয়ে দেখেনি তো কেউ ।।

বুকের সবুজ পাথ ধরে
তোমার চলাচল
আমার বুকের কাছে তুমি
অনেক সুখের ঢল
আমি ছাড়া তোমার
সুখ ছুঁয়ে দেখেনি তো কেউ ।।

তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে

তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে
হৃদয়ের কোঠরে রাখব
আর হৃদয়ের চোখ মেলে তাঁকিয়ে
সারাটি জীবন ভরে দেখব
আমি নেই নেই নেইরে
যেন তোরেই মাঝে হারিয়ে গেছি ।।

তোর রিণিঝিণি কাঁকণের ছন্দ
র্নিঘুম স্বপ্নে বাজেরে
আর নন্দিত বাধনের শিহরণ
দু’চোখরে জানালায় লাগেরে
তোরে রংধনুর সাত রঙে রাঙিয়ে
ফুলদানি সাজিয়ে রাখব
আর কপালেতে নীল টিপ পরিয়ে
প্রেমেরই আল্পনা আঁকব ।।

তোর ভাবনার করিডোরে সারা দিন
হেঁটে হেঁটে যেন আমি মরেছি
আর স্বপ্নেতে জেগে জেগে পাহারায়
অধরেতে ঠাঁই করে নিয়েছি
তোরে বুকেরই কারাগারে চিরদিন
বন্দী করেই আমি রাখব
আর শূন্য জীবনে আমারি
অনিমেষে জড়িয়ে রাখব ।।

বাংলার মাটি, বাংলার জল,

বাংলার মাটি, বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার ফল-
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান ।।

বাংলার ঘর, বাংলার হাট,
বাংলার বন, বাংলার মাঠ-
পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক হে ভগবান ।।

বাঙালির পণ, বাঙালির আশা,
বাঙালির কাজ, বাঙালির ভাষা-
সত্য হউক, সত্য হউক, সত্য হউক হে ভগবান ।।

বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন,
বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন-
এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান ।।

তুমি কি আমায় আগের মতো বাসো ভালো

তোমার চোখের আঙ্গিনায় এখনো কি তেমনি করে জোছনা ছড়ায় আলো
এখনো কি তারার পানে চেয়ে থাকো আনমনে
তুমি কি আমায় আগের মতো বাসো ভালো ?

এখনো কি আকাশে মেঘ দেখে জানালা খুলে তেমনি থাকো বসে
এখনো কি প্রথম প্রেমের মতো পরশ বুলায় বৃস্টিধারা এসে
তোমার দীঘল চুলে এখনো কি ছবি আঁকে মেঘের যত কালো
তুমি কি আমায় আগের মতো বাসো ভালো ?

এখনো কি পুরনো চিঠি পড়ে নয়ন ভেজাও নিরব অভিমানে
এখনো কি বিকেলের রোদ এসে গল্প বলে তোমার কানে কানে
সন্ধ্যা নেমে এলে এখনো কি তেমনি করে সাঁঝের প্রদীপ জ্বালো
তুমি কি আমায় আগের মতো বাসো ভালো ?

বন্ধু

বন্ধু তোকে মনে পড়ে
এই শহরে এই বিকেলে
একলা কোনপথে

বন্ধু তোকে মনে পড়ে
ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত রেস্তরা
ব্যস্ত চায়ের কাপে

তোকে কি কখনো ভোলা যায়?
তোকে কি কখনো ভোলা যায়?
তবুও দিন কেটে যায়
তবুও দিন কেটে যায় ।।

বন্ধু তোকে মনে পড়ে
খেলার মাঠে
ক্রিকেট ব্যাটে
আর প্রানহীন আড্ডায়

বন্ধু তোকে মনে পড়ে
কলেজ ক্যাম্পাসের ধূসর প্রাঙ্গন
আর অসীম শূন্যতায়

তোকে কি কখনো ভোলা যায়?
তোকে কি কখনো ভোলা যায়?
তবুও দিন কেটে যায়
তবুও দিন কেটে যায় ।।

বন্ধু তোকে মনে পড়ে
সবুজ ঘাসের ঠোটের কোনে
তপ্তরোদের আভায়

বন্ধু তোকে মনে পড়ে
রাতের রাজপথে সোডিয়াম আলো
আর এক পশলা বর্ষায়

তোকে কি কখনো ভোলা যায়?
তোকে কি কখনো ভোলা যায়?
তবুও দিন কেটে যায়
তবুও দিন কেটে যায় ।।

ভোরের শিশির

আচ্ছা কখনো এমন যদি হয়. তুমি আছ আমি নেই, কি কি করবে তুমি?

আমি ভোরের শিশির হয়ে যদি কোনদিন হারিয়ে যাই
আমি এই পৃথিবী হতে যদি কোনদিন মুছে যাই
তুমি কি আমার জন্যে কেঁদে কেঁদে , চলে যাবে দূরে অন্য কোথাও

কি করে ভাবলে তুমি যাবে আগে আমায় ছেড়ে
ব্যাথা ভরা শুন্যতায় আমি ভাসি অথৈ ঝড়ে
নিঁকষ আঁধারে………..

আমিও তোমার জন্যে কেঁদে কেঁদে
চলে যাব দূরে তোমার কাছে
তুমি কি আমার জন্যে কেঁদে কেঁদে , চলে যাবে দূরে অন্য কোথাও

চিঠি

বাতাসে কান পেতে থাকি , এই বুঝি ডাকছ তুমি
আকাশে চোখ মেলে থাকি, এই বুঝি পাঠালে চিঠি
একবার বলি, বারবার বলি, বলি যে লক্ষবার
তুমি আমার প্রিয়তম, তুমি যে আমার
একবার বলি, বারবার বলি, বলি যে লক্ষবার
তুমি আমার প্রিয়তম (প্রিয়তমা), তুমি যে আমার

তোমায় ছাড়া জীবন আমার, জীবন সেতো নয়
তোমায় নিয়ে অনন্তকাল বাঁচতে ইচ্ছে হয়
তোমারি জন্য রেখেছি খুলে স্বপ্নেরই দুয়ার
একবার বলি, বারবার বলি, বলি যে লক্ষবার
তুমি আমার প্রিয়তম, তুমি যে আমার
একবার বলি, বারবার বলি, বলি যে লক্ষবার
তুমি আমার প্রিয়তম (প্রিয়তমা), তুমি যে আমার

হৃদয়েরই পাতায় পাতায়. তোমারি নাম লিখা
তুমি ছাড়া, পৃথিবীটা, ভীষন একলা একা
তোমারি জন্য রেখেছি খুলে স্বপ্নেরই দুয়ার
একবার বলি, বারবার বলি, বলি যে লক্ষবার
তুমি আমার প্রিয়তম, তুমি যে আমার
একবার বলি, বারবার বলি, বলি যে লক্ষবার
তুমি আমার প্রিয়তম (প্রিয়তমা), তুমি যে আমার

বৃদ্ধাশ্রম

ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম !

আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো, ফ্ল্যাটে রাখা যায় না।
ওর বাবার ছবি,ঘড়ি-ছড়ি, বিদেয় হলো তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিলো, কাকে খেলো, পোষা বুড়ো ময়না।
স্বামী-স্ত্রী আর আ্যালসেশিয়ান-জায়গা বড়ই কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!

নিজের হাতে ভাত খেতে পারতো নাকো খোকা
বলতাম আমি না থাকলে কি করবি রে বোকা?
ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো খোকা আমার কথা শুনে-
খোকা বোধ হয় আর কাঁদে না, নেই বুঝি আর মনে।
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখে উঠতো খোকা কেঁদে
দু’হাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে
দু’হাত আজো খুঁজে,ভুলে যায় যে একদম-
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম!

খোকারও হয়েছে ছেলে, দু’বছর হলো
তার তো মাত্র বয়স পঁচিশ, ঠাকুর মুখ তোলো।
একশো বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ
পঁচিশ বছর পরে খোকার হবে ঊনষাট।
আশ্রমের এই ঘরটা ছোট, জায়গা অনেক বেশি-
খোকা-আমি, দু’জনেতে থাকবো পাশাপাশি।
সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম
মুখোমুখি আমি, খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি, খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি, খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!

বন্ধু আমার

বন্ধু তোমার চোখের মাঝে চিন্তা খেলা করে
বন্ধু তোমার কপাল জুড়ে চিন্তালোকের ছায়া
বন্ধু তোমার নাকের ভাজে চিন্তা নামের কায়া
বন্ধু আমার মন ভাল নেই, তোমার কি মন ভালো
বন্ধু তুমি একটু হাসো, একটু কথা বলো
বন্ধু আমার বন্ধু তুমি, বন্ধু মোরা ক' জন
তবুও বন্ধু...... মন হলো না আপন ।।

বন্ধু আমার বুকের মাঝে বিসর্জনের ব্যথা
বন্ধু তুমি অমন করে যেও না আর একা
বন্ধু এসো স্বপ্ন আকি চারটা দেয়াল জুড়ে
বন্ধু এসো আকাশ দেখি পুরোটা চোখ খুলে
বন্ধু এসো জল এ ভাসি বুক ভাসানোর সুখে
বন্ধু তোমার বন্ধু আমিবন্ধু মোরা ক' জন
তবুও বন্ধু..... ভাসিনাকো
আঁকিনাকো স্বপন ।।

দোলনা একা একা

দোলনা একা একা দুলতে পারে না
তাকে দোলাতে হয়
তুমি দোলা দাও আর আমি দুলে যাই
দোলনায় দোলনায় দোলনায়।।

চাঁদের নিজের কোন আলো নেই, জানো?
সূর্য আড়াল থেকে আলো দিয়ে যায়
তুমি দোলা দাও আর আমি দোল খাই
দোলনায় দোলনায় দোলনায়!!

দোল খেতে খেতে চোখে এসে দেবে ঘুম
ঘুমের ভেতরে কি যে হবে ভাবি
যাই হয় হোক তুমি দিও তাতে সায়
তুমি দোলা দাও আর আমি দোল খাই
দোলনায় দোলনায় দোলনায়!!

হাওয়া দোলা দেয়
তুমি আমি দোল খাই
দোলনায় দোলনায় দোলনায়!!

আমার বাংলাদেশ

তুমি প্রিয় কবিতার ছোট্ট উপমা, তুমি ছন্দের অন্তমিল
তুমি বর্ষার প্রথম বৃষ্টি, তুমি পদ্ম ফোঁটা ঝিল।

তুমি প্রিয়তমার স্নিগ্ধ হাতের বন্ধনের রাখী
তুমি কষ্টের নিভৃত কান্নায় ভরা যন্ত্রণার সবই।
তুমি শীর্ষ অনুভূতির পরে, শুন্যতার বোধ
তুমি আলতো স্পর্শে প্রিয়ার চাহনি, গুমরে থাকা ক্রোধ।

তুমি ভোর রাত্রির প্রার্থনা, তুমি চেনা নদীর ঢেউ
তুমি সুখের সেই দিনগুলো শেষে হারিয়ে যাওয়া কেউ।
তুমি ভ্রান্তি নও, বাস্তবতা, শুন্য ভাতের থালা
তুমি লোভ, ঘৃণায়, ব্যাকরণে বিবেকের বন্ধ তালা।

তুমি সংঘাত আর প্রতিঘাতের অস্হির রাজপথ
তুমি আজ ও আগামীর মাঝে বেদনার নীলক্ষত।
তুমি চাওয়া না পাওয়ার ফাকে, অসম সমীকরণ
তুমি অবুঝ রাগী প্রজন্মের, হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।

তুমি তারণ্যের চোখের কোণে, বিষন্নতার বাস
তুমি বুড়ো খোকাদের ইচ্ছেমত ভুলের ইতিহাস।
তুমি উদ্ধত মিছিলের স্রোতে গর্বিত মুখ
তুমি ভুল নায়কের হাতছানিতে মায়ের শুন্য বুক।

তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু, তোমার মাঝেই শেষ
ভালোলাগায় ভালোবাসার তুমি... আমার বাংলাদেশ ।

তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু, তোমার মাঝেই শেষ
জানি ভাল লাগার, ভালোবাসার তুমি... আমার বাংলাদেশ।।

Friday, December 23, 2011

এটা কি ২৪৪১১৩৯

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা-কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি
আর মাত্র কয়েকটা মাস ব্যাস
স্টার্টিংয়েই ওরা ১১০০ দেবে তিন মাস পরে কনফার্ম
চুপ করে কেন বেলা কিছু বলছো না
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না দেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনে
জরু্রি খুব জরুরি দরকার
স্বপ্ন এবার হয়ে যাবে বেলা সত্যি
এতোদিন ধরে এতো অপেক্ষা
রাস্তার কতো সস্তা হোটেলে
ব্যস্ত ক্যাবিনে বন্দী দুজনে
রুদ্ধশ্বাস কতো প্রতীক্ষা
আর কিছু দিন তারপর বেলা মুক্তি
কসবার ঐ নীল দেয়ালের ঘর
সাদা-কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে
তোমার আমার নাল-নীল সংসার

চুপ করে কেন একি বেলা তুমি কাঁদছো
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি সত্যি
কান্নাকাটির হল্লাহাটির সময় গেছে পেরিয়ে
হ্যালো তুমি শুনতে পাচ্ছো কি

হ্যালো ২৪৪১১৩৯
২৪৪১১৩৯ দূর ছাই ২৪৪১১৩৯....হ্যালো ২৪৪১১৩৯......

Thursday, December 22, 2011

মানুষ মানুষের জন্য

মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না…ও বন্ধু।।

মানুষ মানুষকে পণ্য করে,
মানুষ মানুষকে জীবিকা করে,
পুরোনো ইতিহাস ফিরে এলে
লজ্জা কি তুমি পাবে না…ও বন্ধু।।

বলো কি তোমার ক্ষতি
জীবনের অথৈ নদী
পার হয় তোমাকে ধরে
দুর্বল মানুষ যদি।
মানুষ যদি সে না হয় মানুষ
দানব কখনো হয় না মানুষ
যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ
লজ্জা কি তুমি পাবে না…ও বন্ধু।।

ধনধান্য পুষ্প ভরা

ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
ও সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।

চন্দ্র সূর্য গ্রহতারা, কোথায় উজল এমন ধারা
কথাই এমন খেলে তড়িৎ এমন কালো মেঘে
তার পাখির ডাকে ঘুমিয়ে উঠি পাখির ডাকে জেগে ।।

এত স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধূম্র পাহাড়
কোথায় এমন হরিত ক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে
এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে ।।

পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি
গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে
তারা ফুলের ওপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।।

ভায়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ?
ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।।

http://www.mediafire.com/?5i58w9rfk4o4edw

লালন সাই

সে রূপ দেখবি যদি নিরবধি সরল হয়ে থাক
আয় না চলে ঘোমটা ফেলে নয়ন ভরে দেখ।।
সরল ভাবে যে তাকাবে অমনি সে রূপ দেখতে পাবে।
রূপেতে রূপ মিশে যাবে ঢাকনি দিয়ে ঢাক।।
চাতক পাখির এমনি ধারা অন্য বারি খায় না তারা
... প্রান থাকিতে জ্যান্তে মরা
ঐ রূপ ডালে বসে ডাক।।
ডাকতে ডাকতে রাগ ধরিবে
হৃৎকমল বিকশিত হবে
লালন বলে সেই কমলে হবে মধুর চাক।।

লালন সাই

বড় সংকটে পড়িয়া দয়াল
বারে বার ডাকি তোমায়
ক্ষম ক্ষম অপরাধ
... দাসের পানে একবার চাও হে দয়াময়
ক্ষম ক্ষম অপরাধ
ক্ষম ক্ষম ক্ষম অপরাধ।

তোমার ও ক্ষমতায় আমি
যা ইচ্ছে তাই কর তুমি
রাখো মার সে নাম নামি
তোমার এই জগত
ক্ষম ক্ষম অপরাধ
ক্ষম ক্ষম ক্ষম অপরাধ।

পাপী অধম তারই তে সাঁই
পতিত পবন নাম শুনতে পাই
সত্য মিথ্যা জানব হেতায়
তারা কিতে আজ আমায়
ক্ষম ক্ষম অপরাধ
ক্ষম ক্ষম ক্ষম অপরাধ।

কসুর পেয়ে মারো যারে
আবার দয়া হয়গো তারে
লালন বলে এ সংসারে
আমি কি তোমার কেহই নয়
ক্ষম ক্ষম অপরাধ
বড় সংকটে পরিয়া দয়াল
বারে বার ডাকি তোমায়
ক্ষম ক্ষম অপরাধ
ক্ষম ক্ষম ক্ষম অপরাধ।